Friday, April 26, 2019
Spread the love

ছেলেটা বাটার শো-রুমে স্যান্ডেল কিনতে যায়। খুঁজতে খুঁজতে যখনই একটি স্যান্ডেল পছন্দ হয় তাকিয়ে দেখে গায়ে লেখা হাস পাপিজ।
ছেলেটা মন খারাপ করে চলে আসে।

এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক আমাদের এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন নিয়ে কারো কোন ভাবনা নেই। মানুষ কি চায় এই সব নিয়ে কেউ চিন্তা করেনা। সত্যি বলতে কি, দেশি প্রডাক্ট যেগুলো ব্যবহার করি, সেগুলোর ডিজাইন একেবারেই পছন্দ হয়না। শুধুমাত্র দেশি প্রডাক্ট বলেই ব্যবহার করি। কিন্তু কতদিন আর এমন দেশপ্রেম দেখিয়ে চলা যায়? সবারই তো একটু ভাল জিনিস, ভাল ডিজাইনের কিছু ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে।

আমার আখ জিনিসটা খুব প্রিয়। কিন্তু দাঁত দিয়ে ছিলে খেতে খুব কষ্ট হয়। ব্লেন্ডারেও দেয়া যায়না যে আখের জুস বানাব। রাস্তা ঘাটে যারা আখের রস বিক্রি করে সেগুলো দেখলেই গা গুলিয়ে আসে। তাই প্রিয় হওয়া স্বত্ত্বে আখ জিনিসটা কম খাওয়া হয়। হঠাত করেই সেদিন মনে হচ্ছিল আখের রস বানানোর জন্য এমন কি কোন প্রডাক্ট তৈরি করা সম্ভব না যেটি দিয়ে বাসায় বসেই আখের রস বানাতে পারব। হয়তবা সম্ভব। কেননা ফেসবুকে এমন এমন সব প্রডাক্ট দেখি যেগুলো বিদেশিদের বানানো, খুব সহজেই নানা কাজ করা যায়।

আমাদের এখানে প্রডাক্ট ডিজাইন নিয়ে কেউ আসলে কোন কিছু ভাবেই না। এক নিতুন কুন্ডু অটবির মাধ্যমে নিত্য নতুন ডিজাইনের প্রডাক্ট নিয়ে বেশ কাজ করেছিলেন। নিতুন কুন্ডুর মৃত্যুর পরে আসলেই কি কেউ যেকোন ধরনের প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করেছেন? সবার চিন্তা কিভাবে প্রফিট করা যায়। ক্রিয়েটিভ চিন্তা এই দেশের অধিকাংশ মানুষই করতে চায়না। প্রডাক্ট ডিজাইনে উন্নতি করতে না পারলে এখন মানুষ যতটুকু দেশি প্রডাক্ট ব্যবহার করছে ভবিষ্যতে হয়ত তাও করবেনা। তখন কিন্তু বলতে পারবেন না, এই দেশের মানুষ খারাপ, দেশি প্রডাক্ট ব্যবহার করেনা। জোর করে আর কত ভালবাসা যায়? হৃদয়ের ভালবাসা পেতে হলে আপনাদেরও তো কিছু করতে হবে।

Editor
Admin

One Reply to “ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

advertisement 2
advertisement 3